You are here : Home »

Latest Post

চরমোনাইয়ের পীরের ছেলে রেদওয়ান গ্রেপ্তার- অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

Written By bdnews online on বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ | ১:১০ AM

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এইমওয়ে করপোরেশন লিমিটেড নামের এক প্রতিষ্ঠানের মালিক রেদওয়ান বিন ইসহাককে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পল্টন থানার পুলিশ। তিনি চরমোনাইয়ের পীর ফজলুল করিমের ছেলে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে বাড্ডা এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৫ জুলাই আবদুস সাত্তার নামের এক ব্যক্তি সোয়া দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পল্টন থানায় রেদওয়ানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে আরও কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পল্টন থানায় মামলা রয়েছে। এসব মামলায় ইতিপূর্বে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
এইমওয়ে কোম্পানির অধীনে বহুধাপ বিপণন ব্যবসা (এমএলএম) রয়েছে।
সূত্র : প্রথম আলো।

৪২ বাংলাদেশি তরুণী ভারত থেকে ফিরল

বেনাপোল চেকপোষ্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান  জানান, দালালদের সহায়তায় তিন বছর আগে এসব তরুণীরা বোম্বে যান। সেখানে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ নেন। এর কিছুদিন পরই ভারতীয় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হন তারা। পরে দুই বছর কারাভোগের পর "রেসকিউ ফাউন্ডেশন" নামে একটি ভারতীয় এনজিও সংস্থা জেলখানা থেকে তাদের উদ্ধার করে নিজস্ব সেল্টার হোমে আশ্রয় দেয়।
পরে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর ও জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতি উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন চিঠি চালাচালির পর তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার অনুমতি পায়। ভারতীয় পুলিশ সোমবার রাত নয়টায় তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে। তাদেরকে আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফিরিয়ে দিতে রাইটস যশোর ও জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃঞ্চ মল্লিক জানান, ভারত থেকে ফেরত আসা তরুণীদের যশোরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।তাদের স্বজনদের কাছে তুলে দেয়া হবে।
ভারতে দুই বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছে ৪২ জন তরুণী, দুই শিশু ও এক পুরুষ। সোমবার রাতে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তাদের হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
 

স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা

Written By bdnews online on মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ | ১:১২ AM

।। কৃষিবিদ মোহাম্মদ জাকির হাসনাৎ ।।
স্ট্রবেরি ছোট ঝোপালো লতানো প্রকৃতির গাছ। এতে শক্ত কোনো কান্ড বা ডালপালা নেই। পাতা সবুজ, ছোট কিনারা খাঁজকাটা, থানকুনি পাতার মতো; পাতার বোঁটাও লম্বা, সরু, নরম। ঝোপের মধ্যেই ছোট ছোট ঘণ্টার মতো সাদা বা ঘিয়া রঙের ফুল ফোটে। সরু সুতার মতো বোঁটার মাথায় একটি একটি করে ফল ধরে। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো ফল। লিচুর মতো একটি গাছে অনেক ফল ধরে। কাঁচা ফলের রঙ সবুজাভ, পাকলে উজ্বল টকটকে লাল হয়। আকর্ষণীয় রঙ, গন্ধ ও উচ্চ পুষ্টিমানের জন্য স্ট্রবেরি খুবই জনপ্রিয়। এতে ভিটামিন ‘সি’ ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। ফল হিসেবে খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন খাদ্যের সৌন্দর্য ও সুগন্ধ বৃদ্ধিতেও স্ট্রবেরি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

স্ট্রবেরির জাত

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘বারি স্ট্রবেরি-১’ নামে স্ট্রবেরির একটি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। জাতটি বাংলাদেশের সবখানেই চাষ করা যায়। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যায়। প্রতি গাছে গড়ে ৩২টি ফল ধরে যার গড় ওজন ৪৫০ গ্রাম। হেক্টর প্রতি ফলন ১০-১২ টন। এই জাতের পাকা ফল আকর্ষণীয় টকটকে লাল বর্ণের। জাতটি যথেষ্ঠ পরিমানে সরু লতা ও চারা উৎপাদন করে বলে এর বংশ বিস্তার সহজ। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত জাত রাবি-১, রাবি-২, রাবি-৩ এবং মডার্ন হর্টিকালচার সেন্টার, নাটোর থেকে প্রচলিত জাত মডার্ন স্ট্রবেরি-১, মডার্ন স্ট্রবেরি-২, মডার্ন স্ট্রবেরি-৩, মডার্ন স্ট্রবেরি-৪, মডার্ন স্ট্রবেরি-৫; আমাদের দেশে চাষযোগ্য জাত।

উপযুক্ত মাটি ও আবহাওয়া

স্ট্রবেরি মূলত মৃদু শীত প্রধান অঞ্চলের ফসল। ফুল ও ফল আসার সময় শুকনো আবহাওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের আবহাওয়া রবি মৌসুমে স্ট্রবেরি চাষের উপযোগী। উর্বর দোআঁশ থেকে বেলে-দোআঁশ যেসব জমিতে পানি জমে সেখানে স্ট্রবেরি ফলানো যাবে না।

জমি তৈরি ও চারা রোপণ

জমি ভালভাবে চাষ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে অন্তত ১ফুট গভীর করে জমি চাষ দিতে হবে। শেষ চাষের সময় পরিমানমতো সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। স্ট্রবেরির চারা আশ্বিন (মধ্যসেপ্টেম্বর থেকে মধ্যঅক্টোবর) মাসে রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্ট্রবেরি চারা রোপণ করা যায়।
চারা রোপণের জন্য জমিতে বেড তৈরি করে নিতে হবে। প্রতিটি বেড প্রায় ৩ ফুট প্রশস্ত করে তৈরি করতে হবে। দুই বেডের মধ্যে ১-১.৫ ফুট চওড়া নালা রাখতে হবে। প্রতিটি বেডে দুই লাইনের মধ্যে ১.৫-২ ফুট দূরত্ব রাখতে হবে। প্রতিটি লাইনে ১-১.৫ ফুট দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হবে। এই হিসেবে প্রতি শতকে প্রায় ১৫০টি চারা রোপণ করা যায়।

সার প্রয়োগ

ভাল ফলনের জন্য জমিতে পরিমানমতো সার দিতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে ফলন ভালো হয়। সাধারণ হিসেবে প্রতি শতক জমিতে সারের পরিমান উল্লেখ করা হলো :
সারের নামপরিমান (প্রতি শতকে)
শুকনা পচা গোবর ১২০ কেজি
ইউরিয়া ১ কেজি
টিএসপি ৮০০ গ্রাম
এমওপি ৯০০ গ্রাম
জিপসাম ৬০০ গ্রাম
শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ গোবর, টিএসপি, জিপসাম ও অর্ধেক পরিমাণ এমওপি সার জমিতে ছিটিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া ও অবশিষ্ট এমওপি সার চারা রোপণের ১৫ দিন পর থেকে ১৫-২০ দিন পর পর ৪-৫টি কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

সেচ

জমিতে রসের অভাব দেখা দিলে প্রয়োজনমতো পানি সেচ দিতে হবে। স্ট্রবেরি জলাবদ্ধতা একদমই সহ্য করতে পারে না। তাই বৃষ্টি বা সেচের অতিরিক্ত পানি দ্রুত বের করে দিতে হবে।

স্ট্রবেরির চারা উৎপাদন

স্ট্রবেরি রানারের (কচুর লতির মতো লতা) মাধ্যমে বংশবিস্তার করে থাকে। তাই পূর্ববর্তী বছরের গাছ নষ্ট না করে জমি থেকে তুলে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে রোপণ করতে হবে। ওই গাছ থেকে উৎপন্ন রানারের শিকড় বের হলে তা কেটে ৫০ ভাগ গোবর ও ৫০ ভাগ পলিমাটিযুক্ত পলিথিন ব্যাগে লাগাতে হবে। এরপর পলিথিন ব্যাগসহ চারাটি হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। অতিরিক্ত বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষার জন্য চারার উপর পলিথিনের ছাউনি দিতে হবে। রানারের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা হলে স্ট্রবেরির ফলন ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাই জাতের ফলন ক্ষতা অক্ষুন্ন রাথার জন্য টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উৎপাদিত চারা ব্যবহার করা ভালো।

অন্যান্য যত্ন

সরাসরি মাটির সংস্পর্শে আসলে স্ট্রবেরির ফল পচে নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য চারা রোপণের ২০-২৫দিন পর স্ট্রবেরির বেড খড় বা কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ৩ মিলিলিটার ডার্সবান-২০ ইসি ও ২ গ্রাম ব্যাভিস্টিন ডিএফ মিশিয়ে ওই দ্রবণে খড় শোধন করে নিলে তাতে উঁই পোকার আক্রমণ হয় না এবং দীর্ঘ দিন তা অবিকৃত থাকে। জমি সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। গাছ লাগানোর পর তার গোড়া থেকে প্রচুর রানার বা কচুর লতির মতো লতা বের হতে থাকে। এগুলো জমি ঢেকে ফেলে। এতে ফলন ভাল হয় না। এ জন্য রানারসমূহ ১০-১৫ দিন পর পর কেটে ফেলতে হবে।

রোগ বালাই ব্যবস্থাপনা

পাতায় দাগ পড়া রোগ
এক ধরণের ছত্রাকের আক্রমণে এই রোগ হয়। এই রোগের আক্রমণে ফলন ও ফলের গুণগত মান কমে যায়। এর প্রতিকারের জন্য অনুমোদিত ছত্রাকনাশক যেমন-সিকিউর বা রিডোমিল্ড গোল্ড প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

ফল পচা রোগ
এ রোগের আক্রমণে ফলের গায়ে জলে ভেজা বাদামী বা কালো দাগের সৃষ্টি হয়। দাগ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ফল খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায়। এ জন্য ফল পরিপক্ক হওয়ার আগে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক যেমন-নোইন ৫০ ডব্লিউপি অথবা ব্যাভিস্টিন ডিএফ নামক ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

মাকড়
মাকড়ের আক্রমণে স্ট্রবেরির ফলন ক্ষমতা ও গুণগত মান মারত্মকভাবে বিঘিœত হয়। এদের আক্রমণে পাতা তামাটে বর্ণ ধারণ করে ও পুরু হয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে কুচকে যায়। গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যবহত হয়। এ জন্য ভারটিমেক নামক মাকড়নাশক প্রতি লিটার পানির সাথে ১ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

পাখি
বুলবুলি পাখি স্ট্রবেরির সবচেয়ে বড় শত্রু। ফল আসার পর সম্পূর্ণ পরিপক্ক হওয়ার আগেই পাখির উপদ্রব শুরু হয়। এজন্য ফল আসার পর সম্পূর্ণ বেড জাল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে পাখি ফল না খেতে পারে।

মাতৃগাছ রক্ষণাবেক্ষণ

স্ট্রবেরি গাছ প্রখর সূর্যের আলো ও বেশি বৃষ্টি সহ্য করতে পারে না। এজন্য মার্চ-এপ্রিল মাসে হালকা ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ফল সংগ্রহের পর সুস্থ-সবল গাছ তুলে পলিথিন ছাউনির নিচে রোপণ করলে মাতৃগাছকে সূর্যের খরতাপ ও ভারী বৃষ্টির ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়। মাতৃগাছ থেকে উৎপাদিত রানার পরবর্তী সময়ে চারা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ফল সংগ্রহ

ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি (অক্টোবর মাসের শুরু) সময়ে রোপণকৃত বারি স্ট্রবেরি-১ এর ফল সংগ্রহ পৌষ মাসে শুরু হয়ে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে। ফল পেকে লাল রঙ হলে ফল সংগ্রহ করতে হয়। স্ট্রবেরির সংরক্ষণকাল খুব কম হওয়ায় ফল সংগ্রহের পর পরই তা টিস্যু পেপার দিয়ে মুড়িয়ে প্লাস্টিকের ঝুড়ি বা ডিমের ট্রেতে এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে যাতে ফল গাদাগাদি অবস্থায় না থাকে। ফল সংগ্রহের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাজারজাত করতে হবে।

দেশী শিং-মাগুর-কৈ ও থাই কৈ মাছের চাষ

বাংলাদেশে শিং-মাগুর ও কৈ অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর মাছ হিসেবে বহুল আলোচিত ও সমাদৃত। কিন্তু জলজ পরিবেশের আনুকূল্যের অভাব এবং অতিরিক্ত আহরণজনিত কারণে এ সমস্ত মাছ অধুনা বিলুপ্তির পথে। এ সব মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার্থে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষনা কার্যক্রম শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে আশাব্যঞ্জক সাফল্য অর্জন করেছে। ফলে, এ জাতীয় মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার উজ্জ্বল সম্ভাবনার দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে।
শিং-মাগুর ও কৈ মাছ কেনো চাষ করবো:
(ক) এ মাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু, যা আগেই উল্লেখ করেছি।
(খ) অধিক সংখ্যক মাছ এক সঙ্গে চাষ করা যায়।
(গ) স্বল্প গভীর পানিতে নিরাপদে চাষ করা সম্ভব।
(ঘ) অন্যান্য মাছের তুলনায় এ মাছের চাহিদা ও বাজার মূল্য অনেক বেশি।
(ঙ) অতিরিক্ত শ্বাসনালী থাকায় বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে এরা দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। ফলে, জীবন্ত অবস্থায় বাজারজাত করা যায়।
(চ) কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবনের ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পোনা উৎপাদন সম্ভব।
(ছ) রোগীর পথ্য হিসেবে এ মাছের চাহিদা ব্যাপক।
এ প্রেক্ষাপটে প্রথমে শিং মাছের উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করা হলো:-
শিং মাছ-
আবাসস্থল- খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, পুকুর-দীঘি, ডোবানালা, প্লাবনভূমি ইত্যাদি। এঁদো, কর্দমাক্ত মাটি, গর্ত, গাছের গুঁড়ির তলা ইত্যাদি জায়গায় এরা সহজেই বসবাস করতে পারে। আগাছা, কচুরিপনা, পচা পাতা, ডালপালা ঘেরা জলাশয়ে বাস করতে এদের আদৌ কোন সমস্যা হয় না।
খাদ্য গ্রহন প্রবণতা-
রেণু পর্যায়ে- আর্টেমিয়া, জু-প্লাঙ্কটন, ক্ষুদ্রজলজ পোকা-মাকড় ইত্যাদি। বয়োপ্রাপ্ত অবস্থায়- জলজ পোকা-মাকড়, ক্ষুদ্র চিংড়ি ও মাছ, ডেট্রিটাস পচনরত প্রাণিজ দ্রব্যাদি।
পরিপক্কতা- এ মাছ বছরে একবার প্রজনন করে থাকে এবং প্রথম বছরেই পরিপক্কতা অর্জন করে। প্রজননকাল মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস।
চাষ-ব্যবস্থাপনা- ১.০ থেকে ১.৫ মিটার গভীরতা বিশিষ্ট- পুকুর এ মাছ চাষের জন্য উপযোগী। সম্ভব হলে পুকুরের পানি শুকিয়ে পাড় মেরামত করে নিতে হবে। পুকুরে প্রতি শতাংশে ১ কেজি চুন, ১০ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ১০০ গ্রাম টি.এস.পি সার প্রয়োগ করতে হবে। পুকুরে প্রতি শতাংশে ৪-৬ সে:মি: দৈর্ঘ্যের সুস্থ-সবল ২০০ থেকে ২৫০ টি পোনা মজুদ করা যেতে পারে।
সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ- চালের কুঁড়া শতকরা ৪০ ভাগ তৈলবীজের খৈল ৩০ ভাগ ও শুটকি ৩০ ভাগ একত্রে মিশিয়ে গোলাকারে বল তৈরি করে মাছকে সরবরাহ করতে হবে। এ ছাড়া শাসুক-ঝিনুকের মাংসও মাছকে খাওয়ানো যেতে পারে।
খাদ্য প্রয়োগের মাত্রা- মুজদকৃত মাছের মোট ওজনের ৪-৫% হারে দৈনিক দুইবার খাদ্য প্রদান করতে হয়। যথাযথ পদ্ধতিতে পরিচর্যা করা সম্ভব হলে ৬-৮ মাসে শিং মাছ বাজারজাত করার উপযোগী সাইজে উন্নীত হয়ে থাকে।
সম্ভাব্য আয়- এক চাষ মৌসুমে ব্যবস্থাপনা খরচ বাদে প্রতি শতাংশে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
মাগুর মাছ:-
আবাসস্থল- খালবিল, হাওর-বাঁওড়, ডোবানালা, পুকুর, প্লাবনভূমি ইত্যাদি। এ মাছ এঁদো, কর্দমাক্ত মাটি, গাছের গুঁড়ির তলা, গর্ত ইত্যাদি জায়গায় বসবাস করতে পছন্দ করে। ¯্রােতহীন আবদ্ধ পানিতে এদের সচরাচর দেখা যায়। কচুরিপানা, পচাপাতা আগাছা বেষ্টিত জায়গায় এদের স্বচ্ছন্দে বসবাস লক্ষ্য করা যায়।
খাদ্য গ্রহণ প্রবণতা- এদের খাদ্য গ্রহণ-প্রবণতা শিং মাছের মতোই।
পরিপক্কতা- এ মাছ বছরে একবার প্রজনন করে থাকে। প্রজননকাল মে থেকে আগস্ট মাস ।
চাষ ব্যবস্থাপনা - ১.০ থেকে ১.৫ মিটার গভীরতা বিশিষ্ট পুকুর এ মাছ চাষের জন্য উপযোগী। পুকুরের পানি শুকিয়ে পাড় মেরামত করে নিতে হবে। প্রতি শতাংশে ১ কেজি চুন, ১০ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১০০ গ্রাম টি.এস.পি সার প্রয়োগ করে পুকুর প্রস্তুতিপর্ব সম্পন্ন করতে হয়। ৪-৬ সে:মি: দৈর্ঘ্যের সুস্থ-সবল পোনা পুকুরে মজুদ করা উত্তম। শতাংশ প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টি পোনা মজুদ করা যেতে পারে। শিং মাছের মতো মাগুর মাছকেও মাছের মোট ওজনের ৪-৫% হারে দৈনিক দুইবার খাবার সরবরাহ করতে হবে।
মাগুর মাছের খাবার হিসেবে শিং মাছের অনুরূপ উপকরণাদিসহ তৈরী সম্পূরক খাদ্য দৈনিক দুইবার যথারীতি প্রদান করতে হবে। যথানিয়মে মাছের পরিচর্যা করা সম্ভব হলে, ৮-১০ মাসেই মাগুর মাছ বাজারজাত করার উপযোগী সাইজে উন্নীত হয়ে থাকে।
সম্ভাব্য আয়- এক চাষ মৌসুমে মাগুর মাছ চাষ করে ব্যবস্থাপনা খরচাদি বাদে শতাংশ প্রতি ১০০০ থেকে ১,৫০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
কৈ মাছ:-
আবাসস্থল- খাল-বিল, হাওড়-বাঁওড়, পুকুর-ডোবা নালা, প্লাবনভূমি ইত্যাদি। এরা এঁদো, কর্দমাক্তমাটি, গর্ত, গাছের গুঁড়ির তলা ইত্যাদি জায়গায় বাস করতে পছন্দ করে। শিং ও মাগুর মাছের মতোই কৈ মাছ আগাছা, কচুরি পানা, পচা পাতা, ডালপালা বেষ্টিত জলাশয়ে বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
খাদ্য গহণ প্রবণতা - কৈ মাছের খাদ্য গ্রহণ প্রবণতা শিং ও মাগুর মাছের মতোই।
পরিপক্কতা:- প্রথম বছরেই পরিপক্কতা অর্জন করে। এ মাছ বছরে একবার প্রজনন করে। প্রজনন কাল মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস।
চাষ ব্যবস্থাপনা:- কৈ মাছ ছোট বড়ো সব পুকুরেই চাষ করা সম্ভব। ১.০ থেকে ১.৫ মিটার গভীরতার পুকুর কৈ চাষের জন্য উপযোগী। এ মাছ চাষের জন্য পুকুরের পানি শুকিয়ে পাড় মেরামত করে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। পুকুরে প্রতি শতাংশে ১ কেজি চুন, ১০ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১০০ গ্রাম টি.এস.পি সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি শতাংশে ১৫০-২০০ টি চারা পোনা মজুদ করা যেতে পারে। মাছের দৈহিক ওজনের ৪-৫% হারে দৈনিক দুইবার খাবার সরবরাহ করতে হয়। সম্পূরক খাদ্যে ৩৫ থেকে ৪০% আমিষ খাদ্য অত্যাবশ্যক ।
খাদ্য হিসেবে ফিশ মিল ৩০% + মিট ও বোন মিল ১০% + সরিষার খৈল ১৫% + তিল/সোয়াবিন খৈল ২০% + চালের কুঁড়া ২০% + আটা বা চিটা গুড় ৪% + ভিটামিন ও খনিজ ১% হারে প্রয়োগ করা সর্বোত্তম।
সঠিক পন্থায় তথা যথা নিয়মে পরিচর্যা করা সম্ভব হলে ৬ মাসেই কৈ মাছ বাজারজাত করা সম্ভব। এ সময়ের মধ্যেই প্রতি শতাংশে ৮-১০ কেজি কৈ মাছ উৎপাদন মোটেই কঠিন কোন কাজ নয়।
সম্ভাব্য আয়- একক চাষ মৌসুমে ব্যবস্থাপনা খরচাদি বাদে প্রতি শতাংশে ৬ মাসে ৭০০-৮০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
থাই কৈ-
বর্তমানে বাংলাদেশে থাই কৈ মাছের চাষ বাণিজ্যিকভাবে যথেষ্ট লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত কৈ মাছের পোনা পরীক্ষমূলক চাষাবাদের মাধ্যমে আমাদের চাষিরা আশাবাঞ্জক সাফল্য অর্জন করেছেন।
থাই কৈ চাষে সুবিধাদি-
(ক) বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু এ মাছ চাষের অনুকূল। দ্রুতবর্ধনশীল, তাই ৪-৫ মাসেই ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম ওজনে উন্নীত হয়ে থাকে।
(খ) বাজরে চাহিদা ও মূল্যমান অন্য মাছের চেয়ে অনেক বেশি। ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ।
(গ) থাই কৈ সম্পূরক খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ত, তাই এ মাছের দৈহিক বৃদ্ধি ও ত্বরান্বিত হয়ে থাকে। বিদেশে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। চাষের জন্য সুস্থ ও সবল পোনা সর্বত্র পাওয়া যায়।
(ঘ) স্থানীয় প্রজাতির কৈ মাছের মতোই থাই কৈ এদেশের আপামর জনসাধারণের খাদ্য তালিকায় ইতোমধ্যেই রসনাতৃপ্তির মাছ হিসেবে গ্রহণ যোগ্যতা পেয়েছে।
(ঙ) আন্তর্জাতিক বাজারে থাই কৈ এর বিপুল চাহিদা থাকায় এ মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাও সম্ভব।
চাষ পদ্ধতি-
পুকুরের চারপাশের ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করতে হবে। পুরনো পুকুর সেচে শুকিয়ে ফেলাই উত্তম। সম্ভাব না হলে নির্ধারিত মাত্রায় রোটেনন পাউডার ৩ ভাগের ২ ভাগ পানিতে গুলে অবশিষ্ট ১ ভাগ কাই করে ছোট বল আকারে পুকুরের সব জায়গায় ছিটিয়ে দিতে হবে। রোটেনন প্রয়োগের আধা ঘন্টা পর জাল টেনে রাক্ষুসে মাছসহ সমস্ত অবাঞ্ছিত মাছ ও প্রাণী ধরে ফেলতে হবে।
চুন প্রয়োগ- রোটেনন প্রয়োগের ৫-৭ দিন পর পুকুরে ৩দ - ৪দ ফুট পানি থাকা অবস্থায় প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
সার প্রয়োগ- চুন প্রয়োগের সপ্তাহ খানিক পর শতাংশ প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম ইউরিয়া ৫০-৭৫ গ্রাম টি.এস.পি, ৫-৭ কেজি গোবর কিংবা ২-৩ কেজি মুরগির বিষ্ঠা পুকুরের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিতে হবে। সার প্রয়োগের ৬-৭ দিন পর পানির রঙ সবুজ বা হালকা বাদামি সবুজ হলেই মাছের পোনা ছাড়তে হবে।
পোনা ছাড়া- একক চাষে প্রতি শাতংশে ২৫০-৩০০ টি সুস্থ সবল একই বয়সী পোনা ছাড়া যেতে পারে। মজুদ পুকুরে ১ মাস বয়েসী পোনা ছাড়াই উত্তম।
পরিচর্যা- পোনা মজুদের পর থেকে নিয়মিত অধিক আমিষযুক্ত মানসম্মত খাবার সরবরাহ করা অপরিহার্য। এ মাছের খাবারে সাধারণত আমিষের পরিমাণ ৩৫% থাকা অত্যাবশ্যক। ছোট অবস্থায় দৈনিক ৫-৬ বার এবং বড়ো অবস্থায় কমপক্ষে ২ বার থাই কৈ এর পুকুরে খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে। পোনা অবস্থায় পুকুরে পানির গভীরতা ৩দ - ৪দ ফুট ও বড়ো অবস্থায় ৫দ - ৬দ ফুট থাকা বাঞ্ছনীয়।
শীত মৌসুমে থাই কৈ ক্ষত রোগে আক্রান্ত হতে পারে, এমতাবস্থায় শীত আসার পূর্বেই পুকুরে যথাসময়ে চুন প্রয়োগের পাশাপাশি পুকুরের পানি ও মাছের স্বাস্থ্য সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
পুষ্টিসম্মত খাবার ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে মাত্র ৪-৫ মাসে ১০০-১৫০ গ্রাম ওজন বিশিষ্ট থাই কৈ বাজারজাত করা সম্ভব।

উচ্চ ফলনশীল নতুন প্রজাতির ধান বিনা -১৪ উদ্ভাবন

বিনা গবেষকের সাফল্য:
নতুন প্রজাতির উচ্চ ফলনশীল জাত বিনাধান- ১৪ উদ্ভাবন

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবুল কালাম আজাদ উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের নতুন জাত “বিনাধান-১৪” উদ্ভাবন করেছেন। জাতীয় বীজ বোর্ডের কারিগরী কমিটির ৭২তম সভার সুপারিশের ভিত্তিতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বোর্ডের ৮০তম সভায় এটি বিনাধান-১৪ হিসাবে কৃষক পর্যায়ে বানিজ্যিকভাবে চাষাবাদের অনুমোদন পায়।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অর্থায়নে ২০১০ সালে নতুন প্রজাতির এ ধান নিয়ে গবেষণা শুরু করেন গবেষক ড. আজাদ । দেশে সরিষার ঘাটতি পূরণ করতে সরিষা চাষের পর এ ধান একমাস পরে লাগালেও অন্যান্য ধান থেকে ফলন বেশী পাওয়া যাবে। এছাড়া ব্রি ধান- ২৮ অপেক্ষায় এ ধানে অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ। এর গাছ খাটো বিধায় ঝড়-বাতাসে গাছ হেলে পড়েনা, পাতাসহ পুরো গাছটি খাড়া থাকে বিধায় সালোক-সংশ্লেষণের মাধ্যমে বেশী খাদ্য তৈরী করতে পারে, চাল ব্রি ধান- ২৮ অপেক্ষা লম্বা ও সরু, চালে প্রায় দশ শতাংশ আমিষ রয়েছে ও ভাত খেতে সুস্বাদু।

ড. আজাদ দাবি করেন, মিউটেশন ব্রিডিং এর ইতিহাসে মাত্র সাড়ে চার বছরে ধানের জাত ছাড়করণ সারা বিশ্বে এটাই প্রথম। বাংলাদেশে বোরো ধানের আওতায় জমির পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ হেক্টর। ২০ লক্ষ হেক্টর জমিতে এ জাতটির সম্প্রসারণ সম্ভব। এতে করে অতিরিক্ত ২০ লক্ষ টন ধান উৎপাদিত হবে এবং এর পাশাপাশি প্রতি বছর ২০ লক্ষ হেক্টর জমিতে দীর্ঘ জীবনকাল বিশিষ্ট সরিষা চাষ করা সম্ভব হবে যার ফলন প্রায় ৪০ লক্ষ টন।

দস্তাসমৃদ্ধ ব্রি-৬২ নতুন জাতের আমন ধান অবমুক্ত

কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী দস্তাসমৃদ্ধ আমন ধানের নতুন জাত ব্রি-৬২ এর অবমুক্ত করার কথা বালেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিউটের বিজ্ঞানীরা জাতটি উদ্ভাবন করেছেন বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন এটি কোন জিএম (জেনেটিকালি মডিফাইড) ধান নয়। এটি দেশীয় ধানের সঙ্গে পরাগায়ন এর মাধ্যমে উদ্ভাবন করা একটি উচ্চ ফলনশীল জাত।
তিনি আরও বলেন এ ধানের প্রতি কেজি চালে ১৯ মিলিগ্রাম দস্তা ও ৯ শতাংশ প্রোটিন থাকবে, যা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
এসম্পর্কে গবেষণা ইন্সটিউটের বিজ্ঞানীরা বলেন ব্রি ধান-৬২ এর ১০৫ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যাবে।যার ফলে আমন মৌসুরে অন্যান্য জাতগুলোর মধ্যে এ ধানের উৎপাদনে কম সময় লাগবে। ফলন হবে প্রতি হেক্টরে চার দশমিক দুই মেট্রিকটন করে।এর চাল মাঝারি আকারের।
আসচ্ছে আমন মৌসুম থেকে কৃষক পর্যায়ে এ ধান চাষাবাদ কারার জন্য কৃষকদের কে উৎসাহিত কারার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে প্রচার-প্রচারনা চালানের জন্য কৃষি সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান সমুহের প্রতি আহবান জানান কৃষিমন্ত্রী।

কমানো হয়েছে ইউরিয়া সারের মূল্য কেজিতে ৪ টাকা

Written By bdnews online on সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ | ১১:৫৫ PM

কমানো হলো ইউরিয়া সারের মূল্য। ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজিতে ৪(চার)টাকা কমানো হয়েছে ইউরিয়া সারের মূল্য। তাই এখন থেকে কৃষক পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারিত হলো প্রতি কেজি ২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা। আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ ঘোষনা দেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন নির্ধারিত এই মূল্য আজ থেকে কার্যকর হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য স্থিতিশীল থাকায় ফসলের উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে ইউরিয়া সারের মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারের এই মূল্য কমানো হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে মিলগেটে ইউরিয়া সারের খুচরা বিক্রয় মূ্ল্য ডিলার পর্যায়ে প্রতিটন ১৮,০০০(আঠার হাজার)টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজি ১৮.০০টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য প্রতিটন ২০,০০০(বিশ হাজার)টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজি ২০.০০টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত কৃষিসচিব এস এম নাজমুল ইসলাম।
Pulpit rock

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

 
E-mail : newsbd4@gmail.com
Copyright © 2013-14. XtremeNews Bangladesh Inc. - All Rights Reserved
Powered by Xtreem News ICT Team